আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের প্রয়াগরাজে পুলিশ পাহারায় থাকা অবস্থায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ।
আরও পড়ুন : ভারতের সাবেক এমপিকে গুলি করে হত্যা
রোববার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, আতিক আহমেদের শরীরে মোট ৮ টি গুলির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া আততায়ীরা আশরাফকে লক্ষ্য করে আরো ৫ গুলি ছোড়ে।
তবে সবকটি গুলি পাওয়া যায়নি। মোট ২২ সেকেন্ড ধরে গুলি চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
‘গ্যাংস্টার’ হিসেবে নিহতদের গ্রেফতার করেছিল যোগী আদিত্যনাথ রাজ্য সরকারের পুলিশ। সেই পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন : মেক্সিকোয় বন্দুক হামলায় নিহত ৭
আতিকের মাথায় প্রথমেই গুলি করা হয়। তারপর একে একে গুলি লাগে তার ঘাড়ে, বুকে ও কোমরে। আতিকের ভাই আশরাফের ঘাড়ে, পিঠে, কব্জিতে, পেটে ও কোমরে গুলি লেগেছে। তার দেহের মধ্যে পাওয়া গেছে তিনটি গুলি। বাকি দু’টি আশরাফের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যে পিস্তল দিয়ে আতিক ও আশরাফকে গুলি করা হয়েছিল, সেটি ‘জিগানা’। তুরস্কের একটি সংস্থার তৈরি। মোট ২২ সেকেন্ড ধরে গুলি চালানো হয়।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতার হওয়া আতিক ও আশরাফকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরে হাঁটতে হাঁটতে সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলছিলেন দু’ভাই।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী নিহত
এই সময় আচমকা তাদের লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়ে ওই হত্যার দৃশ্য। পুলিশের চোখের সামনেই আততায়ীরা স্লোগান দিতে দিতে গুলি চালিয়েছিল। তাদের অবশ্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, আততায়ীরা হাতে বুম নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মিশে ছিল। হঠাৎ সাংবাদিকদের মধ্যে দাঁড়ানো একজন তার হাতে ধরা বুম ও ক্যামেরা ফেলে দেয়, তারপরই পিস্তল বের করে পরপর গুলি চালায়।
লুটিয়ে পড়েন আতিক ও তার ভাই। এ হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের নিরাপত্তাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
সান নিউজ/এইচএন