আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের বড় ধরনের সামরিক মহড়া শেষ করার পরই সর্বকালের বৃহত্তম যৌথ মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন।
আরও পড়ুন : জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল!
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তাইপেই ফিরে আসার পর শনিবার (৮ এপ্রিল) চীন মহড়া শুরু করে।
আরও পড়ুন : চৌকি বিছিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাজার
তাইওয়ানকে অবরোধে চীনের সামরিক বাহিনী ৩ দিনের এই মহড়া সোমবার (১০ এপ্রিল) শেষ হয়। এরপরই মঙ্গলবার মহড়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন।
চীনের এই সামরিক শক্তি প্রদর্শনকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন : চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এছাড়া চীনের এই কর্মকাণ্ডকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে সমালোচনা করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সফর করার অধিকার তার রয়েছে।
বিবিসি জানায়, ফিলিপাইনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : তাইওয়ানকে ঘিরে আছে চীনা জাহাজ
ফিলিপিনো এবং মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তাদের এই মহড়া ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরছে। কারণ অঞ্চলটি অবাধ ও উন্মুক্ত।
মার্চে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে, ফিলিপাইনের সাথে তাদের বার্ষিক বালিকাটান সামরিক মহড়া হবে উভয় দেশের মধ্যে সর্বকালের সবচেয়ে বড়। এই মহড়ায় ১৭ হাজারেরও বেশি সৈন্য অংশগ্রহণ করবে, যার মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যা ১২ হাজার।
আরও পড়ুন : জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
২ সপ্তাহের এই মহড়ায় ফিলিপিনো এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে একটি নকল লক্ষ্যবস্তু হিসেবে থাকা যুদ্ধজাহাজও উড়িয়ে দেবে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড চীনের ক্রোধের কারণ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ম্যানিলার সাথে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন : নারীদের রেস্টুরেন্টে যাওয়ায় বিধিনিষেধ!
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জলসীমার কাছাকাছি অবস্থিত ফিলিপাইনের দ্বীপগুলোতে ৪ টি নতুন নৌ ঘাঁটি স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৩ টি ঘাঁটি লুজন দ্বীপের উত্তরে স্থাপন করা হবে। এই অঞ্চলটি চীন ছাড়াও তাইওয়ানের নিকটতম এলাকা।
বিবিসি জানায়, ফিলিপাইনের চারপাশে ও দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান বাণিজ্য পথ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলটি চীনের বিতর্কিত দাবির বিষয় হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : ১০ মিনিটে পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট শেষ
অঞ্চলটিতে এক ডজন দেশও বালিকাটান সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। এই মহড়া চলবে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়া ১০০ সেনা পাঠিয়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
সান নিউজ/এনজে