আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং এর যাবতীয় কার্যকলাপ রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উঠেছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমায়। ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত দুমার স্পিকার ভিয়েচেস্লাভ ভলোদিন এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন : আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
শনিবার (২৫ মার্চ) দুমার অধিবেশনে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রসঙ্গে ভলোদিন বলেন, রাশিয়ায় আইসিসির যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং এই সংস্থাকে যারা সহায়তা ও সমর্থন করবে তাদের শাস্তির বিধান রেখে পার্লামেন্টে আইন পাস করা উচিত।
এ বিষয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে বলেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে আইসিসির যে কোনো কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন প্রণয়ন করা এখন জরুরি।
আরও পড়ুন : আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের অধিকৃত বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৬০০ জনেরও বেশি শিশুকে রাশিয়ায় পাচারের অভিযোগে গত ১৮ মার্চ পুতিন ও রাশিয়ার শিশু বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লেভোভা বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকার প্রায় ১৩ মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শিশু পাচারের অভিযোগ জানিয়েছিল। এ অভিযোগ আমলে নিয়েই পরোয়না জারি করে আইসিসি। এটি ছিল ইউক্রেন ইস্যুতে আইসিসির প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা।
আরও পড়ুন : সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
এই পরোয়ানা জারির পর গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ২০ মার্চ মস্কোর আদালতে আইসিসির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ হুমকি দেন পুতিনকে গ্রেফতার করা হলে সেটি হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার শামিল।
এরপর আইসিসিকে রাশিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানালেন দুমার স্পিকার ভিয়েচেস্লাভ ভলোদিন।
আরও পড়ুন : ভারতজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি
২০০২ সালে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ শক্তিগুলো এ আদালতকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আইসিসির ১২৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত কয়েকটি দেশও রয়েছে।
ইউক্রেনও এখন পর্যন্ত আইসিসির সদস্য নয়। তবে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর বিশেষ বিবেচনায় কিয়েভকে বিচার চাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আইসিসি।
খবর : রয়টার্স
সান নিউজ/এনজে