ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ফাইল ছবি)
আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ দীর্ঘ করতে না চাইলে বিমান দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিমান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যত দেরি করবেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হতে তত দেরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আরও পড়ুন: প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল খেরসনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ট্রেনে রাজধানী কিয়েভে ফেরার সময় জেলেনস্কি এ কথা বলেন।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত দেশটিতে কামানের ১০ লাখ গোলা পাঠাতে ইইউ যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

তবে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের পিছু হটাতে অধিকতর কার্যকর হবে বলে মনে করছেন তিনি। বক্তব্যে এ দুই সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: রোমানিয়া সীমান্তে ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার

ইউক্রেনে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ আধুনিক অস্ত্র পাঠাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের আহ্বান জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এমনটি না হলে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ বয়ে বেড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।

যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে দুদিন অবস্থান করেন জেলেনস্কি। ফেরার পথে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের একটি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে আবেগঘন বর্ণনা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

রাখঢাক না রেখে দেওয়া দীর্ঘ বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, জোট হিসেবে রাশিয়াকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত ইইউকে নিতে হবে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া, যেটিকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আরও পড়ুন: বিএনপি সরকারের বিষাদ্গারে লিপ্ত

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সমাজে এখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল এ...

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসে...

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অ...

সাভারের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি: সাভারে ঈদের ছুটি ও বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুর-...

ঈদে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধিসহ ১১ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনী, বিজি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা