ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট ‘গ্রুপ অফ সেভেন’ বা জি-সেভেন (জি-৭)-এর আসন্ন সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত সম্মেলনটি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এর আগে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে আরও এক দফা এ সম্মেলন পেছানো হয়েছিল। এবার ট্রাম্প দ্বিতীয় দফা এটি পেছানোর কথা বললেন। ট্রাম্প ‘আহ্বান জানানো’র কথা বললেও তার দেশই এবারের আয়োজক হওয়ায় বস্তুত সম্মেলনটি যে আরেক দফা পেছালো; তা অনেকটা নিশ্চিত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান এ সম্মেলন নির্বাচনের পরে হোক। আগামী সেপ্টেম্বরে এর আয়োজন করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আয়োজক দেশ হিসেবে তার দেশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত জোটের অন্য সদস্য দেশগুলোর নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সদস্য দেশগুলোর বাইরে জোটের সদস্য নয় এমন দেশগুলোর নেতাদেরও আমন্ত্রণ পাঠানো হবে বলে জানান ট্রাম্প।
জোটের বাইরে বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা জানান ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘নিশ্চিতভাবেই তাকে (পুতিন) আমন্ত্রণ জানাবো। আমি মনে করি, তিনি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।’
দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়াকে ফের জি-৭-এ ফেরাতে চাইছেন ট্রাম্প। তবে তার এমন দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মানিসহ জোটের অন্য দেশগুলো।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলে পশ্চিমা দেশগুলো এর জোরালো প্রতিবাদ জানায়। ওই দখলদারিত্বের জেরে একই বছর দেশটিকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৮ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে আবারও স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের জি-৭ জোট নামে আগের পরিচিতি ফিরে পায় এই জোট।
গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ হলো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর জোট। গত মাসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, যে কারণে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তার সমাধান এখনও হয়নি। জার্মানির একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাস বলেন, ‘যতোক্ষণ পর্যন্ত ওই সমস্যার সমাধান না হচ্ছে, ততোক্ষণ আমি অন্তত রাশিয়ার জি-৭-এ ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখছি না। মস্কো নিজে উদ্যোগী হয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। ক্রেমলিনের সেটাই করা উচিত।’
রাশিয়ার গুরুত্ব অবশ্য অস্বীকার করেননি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জি-৭-এর কাছে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা জানি সিরিয়া, লিবিয়া, ইউক্রেনের সমস্যা সমাধান করতে মস্কোকে লাগবে। রাশিয়ারও উচিত ইউক্রেনে নিজেদের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করা। কিন্তু সেখানে তারা খুব ধীরে চলছে।’
সান নিউজ/ এআর