ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলির শব্দ শোনার পর কোনও ঘোষণা ছাড়াই সংবাদ সম্মেলনের পোডিয়াম থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১০ আগস্ট) নিয়মিত ব্রিফিং শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় সিক্রেট সার্ভিসের এক কর্মী এগিয়ে গিয়ে তাকে সরিয়ে নেন। তার সঙ্গে বেরিয়ে যান ঊর্ধ্বতন আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
প্রায় দশ মিনিট পর সংবাদ সম্মেলনে ফিরে ট্রাম্প জানান, হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলির ঘটনা পর্যবেক্ষণে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী যুক্ত হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় হোয়াইট হাউসের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন। পোডিয়ামে এসে যু্ক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক মিনিটের মাথায় তার দিকে এগিয়ে আসেন সিক্রেট সার্ভিসের এক কর্মী। কিছু একটা বলতেই ট্রাম্প তার সঙ্গে হেঁটে পিছনের দরোজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন ম্নুচিন ও ম্যানেজমেন্ট ও বাজেট অফিসের পরিচালক রাসেল ভটও তার সঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। অপর এক কর্মী দরজা বন্ধ করে দেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা কারণ জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। হোয়াইট হাউসের উত্তর লনে অবস্থান নেন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীরা। খানিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর প্রায় দশ মিনিটের মাথায় পোডিয়ামে ফেরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সশস্ত্র ছিলো।
পরে সিক্রেট সার্ভিসের এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘১৭তম স্ট্রিট এবং পেনসালভানিয়া এভিনিউয়ে একটি গুলির ঘটনায় এক কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে নিশ্চিত করছে সার্ভিস। ঘটনাস্থলে আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী রয়েছে। পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’
পোডিয়ামে ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা অসাধারণ।’ ঘটনার পর তাকে সুরক্ষামূলক বাঙ্কারে নেওয়া হয়নি বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে কেবল পাশে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল যাতে নিশ্চিত করা যায় যে বাইরের সবকিছু পরিষ্কার করা গেছে।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের ধারণা এবারই প্রথম নয়। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর গত মে মাসে হোয়াইট হাউসের বাইরে সহিংস বিক্ষোভের সময়ে তাকে একবার সুরক্ষামূলক বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।