আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই তুরস্কে এবার আঘাত হেনেছে বন্যা। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এ বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন : সংলাপের দরকার নেই
বুধবার সকালে তোকাত প্রদেশের গভর্নর নুমান হাতিপোলু জানিয়েছেন, বন্যায় সেখানে একজন মারা গেছেন। আদিয়ামানের টুট জেলায় ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারি বৃষ্টিতে সানলিউরফা ইয়ুবিয়ে ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে সানলিউরফার আবিদে কোপ্রলু জংশনের কাছে বন্যার কারণে অন্তত ৬ জন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : মস্কো সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তুরস্কের আবহাওয়া দপ্তরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
সম্ভাব্য অতিবর্ষণে দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, এলাজিগ, মালত্য, কাহরামানমারাস, মারদিন, সিভাস, সানলিউরফা ও কিলিস প্রদেশ। গত মাসের ভূমিকম্পে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
আরও পড়ুন : মানুষের সেবায় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার দুটি তীব্র ভূকম্পনে দুলে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। প্রলয়ংকরী সেই দুই ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশ দুটির বিশাল এলাকা। এতে প্রাণ হারান ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের।
সান নিউজ/জেএইচ