আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের বাখমুতে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবল সংঘর্ষে দুই পক্ষই বিশাল সংখ্যক নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে।
আরও পড়ুন : বারে বন্দুক হামলায় নিহত ১০
তবে বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করার সুযোগ না থাকায় হতাহতের বিষয়ে কোনও নিরপেক্ষ তথ্য জানা যাচ্ছে না।
রোববার (১২ মার্চ) রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, গত কয়েক দিনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় এক হাজারের বেশি রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মাদাগাস্কারে নৌকাডুবিতে নিহত ২২
এছাড়া গত ৬ মার্চ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার রুশ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
জেলেনস্কি আরও দাবি করেন, রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ও কমপক্ষে দশটি গোলাবারুদের গুদামও ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কঙ্গোতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১৯
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, রুশ বাহিনীর আক্রমণে ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যের প্রাণহানী হয়েছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর সৈন্যরা বাখমুত শহরের পূর্বাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে।
আরও পড়ুন : তুরস্কে নৌকাডুবিতে ৫ অভিবাসীর মৃত্যু
বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন জানান, বাখমুত শহরের কেন্দ্রস্থলে জোরালো সংঘর্ষ চলছে। ইউক্রেনের সেনারা অসংখ্য সৈন্য কাজে লাগালেও তার বাহিনী অগ্রসর হতে পারবে।
প্রিগোজিন আরও বলেছেন, মস্কো থেকে গোলাবারুদ আসতে শুরু করেছে। বাখমুত দখল করে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যসংখ্যা আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন : আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং
সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমা বিশ্ব থেকে যুদ্ধ ট্যাংক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম ও যথেষ্ট গোলাবারুদ পেলে ইউক্রেন সম্ভবত আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে ভূখণ্ডটি পুনর্দখল করতে নতুন অভিযান শুরু করবে। লিওপার্ড ২-এর মতো ট্যাংক চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ইউক্রেনের সৈন্যরা।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জার্মানির উদ্দেশ্যে গোলাবারুদ সরবরাহের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে আরও এক ব্যাংক বন্ধ
এছাড়া ইউক্রেনের পাইলটদের যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দোনেতস্ক অঞ্চলের পূর্বের এই শহরটি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সান নিউজ/এনজে