ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বন্দরে বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছে বৈরুত। মঙ্গলবারের ওই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শনিবার (৮ আগস্ট) হাজার হাজার মানুষ মধ্য বৈরুতের পথে নামেন। তারা পার্লামেন্ট ভবনের নিরাপত্তা বেড়াজাল পেরিয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। কোথাও কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পথ অবরোধ করেন তারা।
সেনাবাহিনী জনতার দুঃখের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েও অবরোধ, বিক্ষোভ ও বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। কিন্তু তাতে শান্ত হয়নি ক্রুদ্ধ জনতা। এ বার কড়া হাতে নামে দাঙ্গা-পুলিশ। বিক্ষোভকারীদর ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। অন্তত ২২ জন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা পথে অন্তত ৮৭ জন বিক্ষোভকারীর চিকিৎসা চলছে।
পণ্য আমদানির মূল বন্দরটি বিধ্বস্ত হওয়ায় খাদ্য ও ওষুধের সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে লেবাননে। বর্তমান মজুতে তাদের ৬ সপ্তাহ মতো চলবে। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তৎপর হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, লেবাননকে সাহায্য করার বিষয়ে সে দেশের ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন। বন্দরটির পুনর্নির্মাণে সাহায্য করতে চায় তুরস্ক।
বিস্ফোরণটি হয়েছে রোসুস নামের এক জাহাজে মজুত রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে। জাহাজটি ওই বন্দরে পড়ে ছিল প্রায় সাত বছর। কেন জাহাজটিকে সেখানেই রেখে দেওয়া হয়েছিল বিক্ষোকারীরা আজ এরই ব্যাখ্যা চান।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে মোট ১৫৮ জন মারা গিয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।