আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির ধাক্কা ও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে পাকিস্তান। এই সংকট ক্রমেই খারাপ হচ্ছে এবং এ অবস্থা থেকে বের হতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সহায়তার দিকে তাকিয়ে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন : শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ীকে কারাদণ্ড
পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ নিয়ে নানা কথা শোনা গেলেও এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের দোষ দিচ্ছে বিশ্ব মোড়ল চীন। বেইজিংয়ের দাবি, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে রয়েছে পশ্চিমারা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া গান্ধী
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে এই বক্তব্য দেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তিনি বলেছেন, কিছু উন্নত দেশের আর্থিক নীতি পাকিস্তানসহ বহুসংখ্যক উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক সমস্যার মূল কারণ। একইসঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান মেলেনি
রাজধানী বেইজিংয়ে ইন্টারন্যাশনাল প্রেস সেন্টারে (আইপিসি) বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘এটি অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে, নির্দিষ্ট একটি উন্নত দেশের আর্থিক নীতিই পাকিস্তানসহ বহু উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক সংকটের মূল কারণ।’
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বাণিজ্যিক ঋণদাতা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মূলত ঋণ দিয়ে থাকে। তার ভাষায়, আর তাই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানাচ্ছে চীন।
আরও পড়ুন : ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
এসময় মাও নিং জোর দিয়ে আরও বলেন, ‘চীন এবং পাকিস্তান সর্বকালের সব সময়ের কৌশলগত সহযোগি ও অংশীদার এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উভয় দেশ সব সময়ই একে অপরকে সমর্থন করে এসেছে।’
চীন সবসময় পাকিস্তানের সাথে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পাকিস্তানকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে, নাগরিকদের জীবিকা উন্নত করতে এবং উন্নয়নের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে থাকে বলেও জানান চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র।
সান নিউজ/এইচএন