আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান মিলেনি। ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে চলমান সামরিক আগ্রাসনকে ঘিরে রাশিয়ার প্রতি ইউক্রেন থেকে নিঃশর্তভাবে সব সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
কিন্তু মস্কোর আপত্তিতে চীন সমর্থন জানানোয় তা আলোর মুখ দেখতে পায়নি। সে কারণে যৌথ ঘোষণা ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে জি-টোয়েন্টি জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দু’দিনের এই সম্মেলন শেষ হয়েছে। ফলে কদিন আগে বেঙ্গালুরুতে এই গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনেও একই পরিস্থিতি হল।
আরও পড়ুন : মগজ খেকো অ্যামিবার সংক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু
তবে ইউক্রেনে রুশ সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম এ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পরস্পর সাক্ষাৎ করেন।
বৃহস্পতিবার সম্মেলনের ফাঁকে এই সাক্ষাতের ফল সম্পর্কে দুই দেশের কূটনীতিকরা বিশেষ কিছু বলতে চাননি। যদিও দুই পক্ষের তরফেই সাক্ষাতের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুই পক্ষের এটিই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ। ১০ মিনিটের মতো দুজনের সংলাপ হয়। পূর্বনির্ধারিত ছিল না এ সাক্ষাৎ।
আরও পড়ুন : অবরোধ সরিয়ে নিল ইসরাইল
ভারতে আসার আগে ব্লিঙ্কেনও জানিয়েছিলেন, সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সম্মেলনে এসে ব্লিঙ্কেনই ল্যাভরভের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
দিল্লির হাত আছে কিনা এই সাক্ষাতের পেছনে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
আরও পড়ুন : প্রয়োজনে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন