আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে ঢুকে ইউক্রেনীয় বাহিনী বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুরব্বিয়ানা করতে পারব না
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এ দাবি করে মস্কো বলছে, ইউক্রেন সীমান্তঘেঁষে তাদের এলাকায় নিয়মিত গুলি ছোড়ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। আজও রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ঢুকে গুলি ছুড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এদিকে মস্কোর এ দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ। অভিযোগ অস্বীকার করে কিয়েভ বলছে, এটি রাশিয়ার ‘ইচ্ছাকৃত উসকানি’।
মস্কোর এমন দাবির পরপরই এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, আজ আরও হামলা চালালো সন্ত্রাসীরা। সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ফিনল্যান্ড
ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তঘেঁষে তাদের একটি গ্রামে ঢুকে বেসামরিক গাড়িতে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে আহত হয়েছে।
রাশিয়ার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, সীমান্তে হামলা চালানোর বিষয়টি রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত উসকানি। অন্য দেশের ওপর হামলা চালানো ন্যায়সঙ্গত বিষয়টি বোঝাতে রাশিয়া তার জনগণকে ভয় দেখাতে চায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আরও ৫২৬ প্রাণহানি
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
সান নিউজ/এনকে