আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় ইসরায়েল ওফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েল জানিয়েছে, নাবলুসের নিকটবর্তী হাওয়ারা গ্রামে নিহতদের মধ্যে একজন সৈনিক ছিলেন। ইসরায়েলের সরকার হাওয়ারায় হত্যাকাণ্ডকে ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে ভাঙার পরিকল্পনা!
আল জাজিরা বলছে, নাবলুসের ঠিক দক্ষিণে হাওয়ারার প্রধান সড়কে রোববারের এই আক্রমণটি হয়। নিহত ওই দুই ইসরায়েলি একে অপরের ভাই এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। তারা সেখান থেকে প্রায় ৮ কিমি (৫ মাইল) দূরে একটি বসতিতে বাস করতেন।
এদিকে জর্ডানের মধ্যস্ততায় ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে সহিংসতা কমানোর অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েলি সরকার এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ক্রমবর্ধমান সহিংসতার অবসানে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতিও ঘোষণা করেছে উভয়পক্ষ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আরও ২১১ প্রাণহানি
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলায় দুই ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে’।
হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজাসহ পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। তখন থেকে ইহুদি এই দেশটি দখলকৃত ভূখণ্ডে কয়েক হাজার ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করেছে। যদিও এই ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে চায়।
সান নিউজ/এমআর