যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী প্রায় সব শিশু দেশটির নাগরিকত্ব পায় -এই সুযোগটি বন্ধ করতে যাচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গর্ভবতী নারীদের শুধু সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য আমেরিকায় ভ্রমণ ঠেকাতে নতুন নিয়ম-নীতি চালু করেছে।
নিয়ম-নীতিগুলো শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন এই নিয়মে একজন গর্ভবতী নারী যদি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে তাকে এটা প্রমাণ দিতে হতে পারে যে মার্কিন মাটিতে সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়া তার ভ্রমণের নির্দিষ্ট অন্য কারণ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার স্বার্থে বি-ওয়ান এবং বি-টু ভিসা নিয়ে অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরতে এসে সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে নাগরিত্ব নেয়া রুখতে হবে৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বিবৃতিতে বলেন, ‘‘জন্ম অভিবাসন শিল্প মূল্যবান হাসপাতাল সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, অপরাধকর্ম বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে৷''
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই ‘অবৈধ অভিবাসন' বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এর ধারাবাহিকতায় নারীদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রবণতা বন্ধের উদ্যোগ৷
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাজিজ-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ‘জন্ম অভিবাসন' আইনের সুবিধা নিয়ে অন্য দেশ থেকে আসা নারীরা ৩৩ হাজার শিশুর জন্ম দিয়েছেন৷ ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩৮ লাখ শিশু জন্ম নিয়েছিল৷