ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় বিদেশি যোগসাজশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। মঙ্গলবারের (৪ আগস্ট) ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৩৭ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে নিজের সন্দেহের কথা তুলে ধরেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট। বাইরে থেকে রকেট হামলা, বোমা অথবা অন্যকোনো মাধ্যমে গুদামঘরে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট মিশেল বলেন, তিনভাবে তদন্ত চলছে, প্রথমত বিস্ফোরক উপাদান কিভাবে গুদামঘরে ঢুকলো এবং সংরক্ষণ কিভাবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনাবসত অথবা অবহেলার কারণে হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবশেষ এতে বাইরের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী লেবাননের প্রেসিডেন্ট।
গত মঙ্গলবার রাতে বৈরুতের বন্দর এলাকার ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লেবানন থেকে সাইপ্রাসের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার হলেও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সে দেশের জনগণের মধ্যে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সাইপ্রাসের সরকার। তাছাড়া কাতার, ইরাক ও কুয়েত দেশটিতে চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে লেবানকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
লেবাননের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারসহ নানা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।