চীনে নতুন নিউমোনিয়া সদৃশ রহস্যময় প্রাণঘাতী ভাইরাস ২০১৯এনসিওভি সম্ভাব্য উৎস হচ্ছে সাপ। জেনেটিক বা জন্ম সম্বন্ধীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন চীনের এক দল বিজ্ঞানী।
জার্নাল অব মেডিকেল ভাইরোলজিতে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাজারে কেনাকাটার সময়ে নানা বুনো প্রজাতির সংস্পর্শে এসেছেন। এসব বাজারে জীবিত হাঁস-মুরগি, সমুদ্রজাত খাদ্য বা সি ফুড, বাদুড় এবং সাপসহ অনেক কিছুই বেচাকেনা হয়।২০১৯এনসিওভি ভাইরাসের বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে যে নতুন প্রজাতির এটি তৈরি হয়েছে দুটো করোনাভাইরাসের সমন্বয়ে। এ দুই ভাইরাসের একটি এসেছে বাদুড় থেকে। মানুষের ওপর হামলার আগে শেষ বারের মতো এ ভাইরাসের দেখা মিলেছে সাপের শরীরে।
এই ভাইরাসের গায়ের কিছু জৈব আমিষ বা বায়োলজিক্যাল প্রোটিনের ভিত্তিতে এটি শনাক্ত করা গেছে। এসব আমিষের কারণেই ভাইরাস পোষক বা হোস্টের দেহ-কোষে হামলা চালাতে পারে। এ ভাইরাসের রূপান্তরিত রূপটিই হলো ২০১৯-এনকোভি এবং এট সহজের মানুষের দেহ-কোষে হামলার সক্ষমতা রাখে।
বাদুড় থেকে সাপে ছড়িয়েছে ভাইরাস। বাদুড় থেকে সরাসরি মানুষের দেহে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
এদিকে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ৮৩০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটি।
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে এমন এক হাজার ৭২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
উহান ও এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি নগরীর প্রায় দুই কোটি মানুষকে কার্যকরভাবে আলাদা করে রাখা হয়েছে এবং বেইজিং দেশব্যাপী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছে।