আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূল থেকে জাপার সাগরেরর দিকে শনিবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ।
আরও পড়ুন : অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পাকিস্তান
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া জাপান সাগরে একটি অজ্ঞাত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যা পিয়ংইয়ংয়ের নিকটবর্তী সুনান এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি কি ধরনের তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তর কোরিয়া বলেছে তারা একটি হাসং-১৫ নামের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার করেছে। যা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, সুনান হল পিয়ংইয়ংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাইট, যেখানে উত্তর কোরিয়া তার সাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষাগুলোর পরিচালনা করেছে।
এদিকে জাপানি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয়েছিল, অস্ত্রটি পিয়ংইয়ংয়ের বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটি।
আরও পড়ুন : টানা ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকতেই হবে
রোববার উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সামরিক মহড়ায় কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি দেয়ার পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শত্রু বাহিনীগুলোকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম, এ পরীক্ষা তা প্রমাণ করেছে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে ধরে ওড়াকালে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৬৮ কিলোমিটার উঁচুতে ওঠে এবং ৯৮৯ কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরের পূর্ব নির্ধারিত এলাকায় গিয়ে পড়ে।
এদিকে রোববারই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে উদ্ধৃত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি সতর্ক করছি, আমরা শত্রুর প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করব এবং আমাদের প্রতি শত্রুতার প্রতিটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এবং অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য পাল্টা ব্যবস্থা নেব। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরআগে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিতে ওয়াশিংটন এবং সিউলকে এই বছর ২০ রাউন্ডের বেশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বড় আকারের স্থল মহড়াও রয়েছে।
আরও পড়ুন : মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়ল
উল্লেখ্য, গত বছর উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। যার মধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সম্ভাব্য রেঞ্জ সহ প্রায় আটটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) রয়েছে। বিপুল পরিমানের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কারন হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানির প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার।
সান নিউজ/এসআই