আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাম্প্রতিক এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি
তবে এর মধ্যে অলৌকিক ঘটনাও ঘটছে। সোমবার আরও একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী এই বালককে ১৮২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। সম্ভবত জীবিত উদ্ধারের আশা ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে এক বালক ও ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে প্রায় আট দিন ধরে আটকা থাকার পর অলৌকিকভাবে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন : মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু পরিবেশিত খবরে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় হতাই প্রদেশে মুস্তাফা নামের সাত বছর বয়সের এক বালককে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হতাইয়ের নুরদেগি থেকে নাফিজ ইলমাজ নামের এক বয়স্ক নারীকে উদ্ধার করা হয়। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উদ্ধার হওয়ার আগে এ দুইজনই ১৬৩ ঘণ্টা আটকা পড়া অবস্থায় ছিলেন।
আরও পড়ুন : গর্ভবতী নারীরা যাচ্ছেন আর্জেন্টিনায়!
তুর্কি দুর্যোগ সংস্থা জানায়, দেশটির বিভিন্ন সংস্থার ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় কাজ করছে। এর পাশাপাশি ৮,২৯৪ জন আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মী এসব কাজে সহযোগিতা করছে।
এ শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে মোট ১২,১৪১টি ভবন ধসে পড়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সরকার।
কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানান, গত সোমবারের ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত হানে।সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরাইলের রকেট হামলা
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
আরও পড়ুন : জ্বালানি তেলের দাম কমল!
১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
সান নিউজ/এইচএন