ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বিবৃতি, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, গালওয়ান সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনাদের তালিকা ছড়িয়ে রয়েছে অন্তর্জালে। কিন্তু বৃহস্পতিবার খোদ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই উধাও হয়ে গেল লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চীনা ফৌজের অনুপ্রবেশের নথি!
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল মে মাসের গোড়ায় লাদাখে চীনা সেনার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নথিটি। সাইটের ‘কী নতুন’ বিভাগে ‘এলএসি-তে চীনা আগ্রাসন’ শিরোনামে লেখা হয়েছিল, ‘‘২০২০ সালের ৫ মে থেকে লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বিশেষত গালওয়ান উপত্যকায় চীনের হানাদারি বাড়ে। মে মাসের ১৭-১৮ তারিখে চীনারা কংরং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর পাড়ে এলএসি অতিক্রম করে।’’
এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষের ডিভিশন এবং কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের উল্লেখও ছিল উধাও হওয়া নথিতে। ছিল ১৫ জুনের গালওয়ান সংঘর্ষ এবং তার পরে ২২ জুন কোর কমান্ডার স্তরের দ্বিতীয় বৈঠক ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গও। মন্তব্য করা হয়েছিল, ‘‘চীনের একতরফা অনুপ্রবেশের ফলে পূর্ব লাদাখে স্পর্শকাতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপর নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।’’
কিন্তু ‘এলএসি-তে চীনা আগ্রাসন’ শিরোনামের নথিটি বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট লিঙ্কটিও আর কাজ করছে না। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আজ গণমাধ্যমকে জানায়, ‘‘আমাদের মাধ্যমে এই কাজ হয়নি।’’
যদিও ঘটনাপর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায় রয়েছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের চার দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘ওখানে (লাদাখ) কেউ আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে আসেনি। ওখানে আমাদের এলাকায় কেউ ঢুকেও বসে নেই।’’ এ বার সরকারি দস্তাবেজ থেকেও মুছে গেল লাদাখে চীনা সেনার অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ।