আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশ দু’টিতে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ৩৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই প্রত্যাহার
ঘটনার চারদিন পরও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। তবে চাপা পড়া লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা এখন বেশ ক্ষীণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু তুরস্কেই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯১ জনের। আর প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় মারা গেছে ৩ হাজার ৩৭৭ জন।
আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ হাজার
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ অন্তত ৯৫টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক দেশ ও সংস্থা এরই মধ্যে সাহায্য পাঠিয়েছেন।
এদিকে সিরিয়া ও তুরস্কের সাম্প্রতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ত্রাণের জন্য দাতা সম্মেলনের পরিকল্পনা ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ছাড়া বিএনপি রাজনীতি বুঝে না
সিরিয়া ও তুরস্কে এ সপ্তাহের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ঘটনার পর ইইউ দেশ দু’টির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড় করতে মার্চে একটি দাতা সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ইইউ প্রধান উরসুলা ভনদের লেয়েন।
টুইট বার্তায় ভনদের লেয়েন লিখেছেন, ‘আমরা এখন একসাথে জীবন বাঁচানোর জন্য ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দৌড়াচ্ছি। আমরা শিগগিরই এক সাথে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করবো। এক্ষেত্রে তুরস্ক ও সিরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর নির্ভর করতে পারে।’
আরও পড়ুন: তুরস্কে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
এর আগে, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
সান নিউজ/এমআর