সান নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৭ হাজার
আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ১৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ১৬২টি মরদেহ। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভূমিকম্পের পর প্রায় ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় কাউকে আর জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে এসেছে।
অপরদিকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারাও নিদারুণ কষ্টে আছেন। অসংখ্য মানুষ তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে আশ্রয় ও খাবার ছাড়া থাকায় তাদের জীবনও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহর হবে যানজটমুক্ত
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখন ‘আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।’
এদিকে তুরস্কের সাধারণ মানুষ এখনো উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, কিছু কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা এসেছেন। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েও যারা জীবিত ছিলেন তারা তীব্র ঠাণ্ডা ও পানির অভাবে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বেলজিয়ামের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি
এদিকে বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রথমবারের মতো যায় জাতিসংঘের সহায়তা। তবে সেখানকার উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তাদের যে সরঞ্জাম প্রয়োজন ছিল, সেগুলো দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস জানিয়েছেন, সিরিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও সহায়তা পৌঁছে যাবে।
সান নিউজ/এনকে