সান নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে কারাগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০ জন জিহাদি পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধা। এএফপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
তুরস্কের সীমান্তের কাছে রাজো শহরের কারাগারের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, কারাগারে প্রায় দুই হাজার বন্দি ছিল। যাদের মধ্যে এক হাজার তিনশ জনই আইএস যোদ্ধা বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারগারে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর যোদ্ধাও রয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২৪৩টির মতো পরাঘাত হয়েছে। এতে কারাগারের দেওয়ালে ফাটল ধরে এবং ফটক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্তান জন্ম
রাজো শহরের ওই কারা কর্মকর্তা আরও বলেন, কারাগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্দিরা বিদ্রোহ করে কারাগারের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এ সময় ২০ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে পলাতকরা আইএস যোদ্ধা।
এদিকে এপি (অ্যাসোসিয়েট প্রেস) বলেছে, মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মোট ৫ হাজার ২১ জন মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৪১৯ ও সিরিয়ায় ১ হাজার ৬০২ জন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি। সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬ হাজার বাড়িঘর ধসে যায়। এখনো ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আহাজারি শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল
প্রসঙ্গত, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন দেশটির প্রায় সব মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, তুরস্ক, সিরিয়া, সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল ও মিশরেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হানে তুরস্কে। এসব আফটারশকের ধারাবাহিকতা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
সান নিউজ/এনকে