আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ১৭
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই জানিয়েছেন, তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৮৪। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩২৩ জন।
অন্যদিকে, সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমিকম্পের আঘাতে এই পর্যন্ত ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৬০০ জন।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমাবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বেলজিয়ামের রানি
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধ্বসে পড়ে ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।
এদিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সেখানেও ভবন ধসে অনেকের আটকা পড়ার খবর এসেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ৪৮৬ মৃত্যু
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে ভূমীকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।
তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।
সান নিউজ/এমআর