অন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল তাদের ‘সাও পাওলো’ নামের একটি বিমানবাহী রণতরী আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু লড়াই করব
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যবহারের অনুপযোগী ও পুরনো হয়ে যাওয়ায় রণতরীটি সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে দেশটি। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান পরিবেশবিদরা। তারা দাবি করেছিলেন, রণতরীটিতে অনেক বিষাক্ত পদার্থ আছে। এগুলো সাগরের পানিতে মিশে পরিবেশের ক্ষতি করবে। তবে তাদের আপত্তিতে সাড়া দেয়নি দেশটির সরকার।
শুক্রবার ব্রাজিলের নৌ বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিকল্পিত রণতরী ডোবানোর বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যার পর সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। ব্রাজিলের উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরের একটি স্থানে ডোবানো হয়েছে এটি । স্থানটির গভীরতা প্রায় ১৬ হাজার ফুট (৫ হাজার মিটার)।
ব্রাজিলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেখানে রণতরীটি ডোবানো হয়েছে সেখানে কোনো জাহাজ চলাচল করে না এবং এটি ব্রাজিলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে ১০ অভিবাসীর মৃত্যু
ব্রাজিল প্রথমে রণতরীটি অন্য কোনো দেশের বন্দরে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ছয় দশক পুরনো এই রণতরী রাখতে রাজি হয়নি কেউ। ফলে এটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৫০ সালে ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছিল রণতরীটি। দীর্ঘ ৩৭ বছর ফরাসি নৌ বাহিনী ‘ফো’ নামে এটি ব্যবহার করে। নৌ বাহিনীর ২০ শতকের ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে এটি।
এই রণতরীটি ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের প্রথম পরমাণু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এছাড়া ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এটি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুগোস্লাভিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বেলুনটি আসলে ওয়েদার ডিভাইস
প্রসঙ্গত, ব্রাজিল ২০০০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বিমানবাহী রণতরীটি কিনে নেয়। কিন্তু ২০০৫ সালে এটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে রণতরীটি তার কার্যকারিতা হারাতে থাকে। ২০২২ সালে ব্রাজিল সরকার রণতরীটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে তুরস্কের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করে তারা। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে তুরস্কের সরকার এতে বাধা দেয়। এরপর এটি আবার ব্রাজিলে ফিরিয়ে আনা হয়।
সান নিউজ/জেএইচ/এসআই