সান নিউজ ডেস্ক: রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তার ‘বড় প্রতিশোধ’ নিতে শুরু করেছে মস্কো বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিবে না যুক্তরাষ্ট্র
রুশ বাহিনী যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে, তখন এমন মন্তব্য করলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে জেলেনস্কি সতর্ক করে আসছেন যে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার যদিও বড় ধরনের হামলা লক্ষ্য করা যায়নি, তবে রুশ-নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক রাজ্যের প্রশাসক (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, রুশ সেনারা ভালেদার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি একটি কয়লা খনির শহর।
তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল ইউক্রেন।
আরও পড়ুন: নিন্দা জানিয়েছে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান
পুশিলিনের উপদেষ্টা ইয়ান গাগিন বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার বাখমুতগামী একটি সরবরাহ লাইনের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া।
এর একদিন আগে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান দাবি করেন, তাদের যোদ্ধারা ব্লাহোদাতন গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বাখমুতের ঠিক উত্তরে অবস্থিত গ্রামটি।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ব্লাহোদাতন ও ভালেদারে রুশ হামলা প্রতিহত করেছে। রয়টার্স বলছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে উভয়পক্ষের দাবি ভেরিভাই করতে (সত্যতা নিশ্চিত) পারেনি। তবে পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ান বাহিনী ধীরে হলেও অগ্রসর হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বোমা হামলা, নিহত বেড়ে ৯০
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে