আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দেশটির লেবার পার্টির জেষ্ঠ্য নেতা ক্রিস হিপকিন্স। বর্তমানে তিনি পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বে ৫ মুসল্লির মৃত্যু
বিবিসির খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদে দলের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হন তিনি। তবে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেও এখনো চেয়ারে বসেননি হিপকিনস।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর স্কাউটস কর্মসূচি স্থগিত
কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘কঠিন সময় যাচ্ছে বলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি, তা নয়। এমন হলে আমি আগেই সরে যেতাম। আমি চলে যাচ্ছি, কারণ প্রধানমন্ত্রীত্বের মতো বিশেষ ভূমিকার সঙ্গে অনেক দায়-দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে, যা পালন করা আমার পক্ষে হয়তো আর সম্ভব নয়। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি কখন সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন ও কখন পারবেন না তা জানা উচিত। আমি মানুষ, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ কাজ করে যেতে পারি। তবে এখন আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে।’
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) নেপিয়ারের এক বিমানবন্দরের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আমি লম্বা সময় ঘুমিয়েছি।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ১৩৯৪ প্রাণহানি
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, জেসিন্ডা গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর রাজা তৃতীয় কিং চার্লস-এর পক্ষে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সান নিউজ /এনজে/এমআর