ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
কাশ্মির উপত্যকাকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার এক বছর পূর্তিতে বড় ধরনের সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) ও বুধবার (৫ আগস্ট) কাশ্মিরজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিলও পাস করা হয়। সে সময় কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকে আটক বা গ্রেপ্তান করা হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ অনেক নেতা এখনও গৃহবন্দি রয়েছেন। গত সপ্তাহেই মেহবুবা মুফতির বন্দিদশা আরও তিনমাস বাড়িয়েছে জম্মু-কাশ্মির প্রশাসন।
কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে বুধবার। এদিন তুমুল বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে বলা হয়, ‘বিদ্রোহী এবং পাকিস্তানের মদদপুষ্ট কিছু সংগঠন ৫ আগস্টকে ব্ল্যাক ডে বা অন্ধকার দিন হিসেবে পালনের পরিকল্পনা করেছে। এদিন বিক্ষোভের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। জনজীবন ও সম্পদ নষ্ট করার মতো সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
ওই আদেশে জানানো হয়, সমগ্র কাশ্মির উপত্যকা জুড়েই কারফিউ জারি থাকবে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যে সকল ব্যক্তি প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে যুক্ত রয়েছেন, তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত বছর কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার সময়ে ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে এই একই ধরনের কারফিউ আরোপ করা হয়েছিল। জেলা কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন এই কারফিউয়ের আদেশ করোনার বিধিনিষেধকে আরও শক্তিশালী করবে। আদেশে বলা হয়, এমনিতেই ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চলাচল নিষিদ্ধ, সেখানে কারফিউ জারি হলে বিধিনিষেধ আরও শক্তিশালী হবে।
সান নিউজ/ এআর