সান নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের স্যাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে দেশটির সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে কয়েক ডজন বাড়ি-ঘর।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলে গড়তে হবে
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে স্যাগাইংয়ের ওই গ্রামে সশস্ত্র বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে প্রায় দুই বছর আগে ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে নজিরবিহীন এক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। গণতন্ত্রের পথে এক দশকের অস্থায়ী যাত্রার অবসান ঘটিয়ে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখল বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া হারলে পরমাণু যুদ্ধ শুরু
গেরিলা বাহিনী গঠন করে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করছেন সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধীরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও বিবিসি বার্মিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে স্যাগাইংয়ের কাথা শহরের মোয়ে তার লে গ্রামে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশা ছাড়েনি ইসি
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী এবং গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ৭ জন গ্রামবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। বোমা হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে পাঁচজন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক আগেই উদ্ধার হয়েছে
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী জিন বলেন, কয়েক ডজন বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং কিছু জেলায় যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘ভয়ানকভাবে পুড়ে যাওয়া কিছু মৃতদেহ গতকাল রাতে দাফন করা হয়েছে এবং অন্যদের আজ দাফন করা হবে।’ নিরাপত্তার কারণে নিজের পুরো নাম প্রকাশ করেন নি জিন।
আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মেট্রোরেল চলবে ৯ ঘণ্টা
এছাড়া আরও বিমান হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা মোয়ে তার লে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে সংঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মিয়ানমার। দেশজুড়ে প্রতিরোধ আন্দোলন ও কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী আবির্ভূত হয়েছে। আর এসব গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় জান্তা বাহিনী প্রায়ই প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে।
সান নিউজ/জেএইচ/এমআর