সান নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। বিশ্বের জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর। র্যান্ডন একজন নারী সন্নাসী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নিহত ৯ হাজারেরও বেশি বেসামরিক
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঘুমের মধ্যেই মারা যান তিনি। জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের (জিআরজি) বিশ্ব অতিশতবর্ষী র্যাঙ্কিং লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, লুসিল র্যান্ডনের জন্ম ১৯০৪ সালে।
জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে লুসিল সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং নাম পরিবর্তন করেন সিস্টার আন্দ্রে রাখেন। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর তিনি একটি নার্সিং হোমে থাকতেন।সেখানেই মারা যান তিনি।
ফ্রান্সের লুসিল র্যান্ডনকে ইউরোপের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জাপানের কেন তানাকা। তিনি ২০২২ সালে ১১৯ বছর বয়সে মারা যান। এরপর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখান এ ফরাসি নারী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে থাকছে না সিসি ক্যামেরা
লুসিল র্যান্ডন জন্মছিলেন একটি খ্রিস্টান প্রোটেসটান্ট পরিবারে। তার আরও তিন ভাই ছিল। তারা ফ্রান্সের এলসে বসবাস করতেন।
র্যান্ডনের ১১৬তম জন্মদিনে বার্তাসংস্থা এএফপিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিজের পরিবারের বিভিন্ন কথা জানিয়েছিলেন।
এই সাক্ষাৎকারে র্যান্ডন জানিয়েছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর তার দুই ভাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন।
উল্লেখ্য, লুসিল র্যান্ডন যখন জন্ম নিয়েছিলেন সে বছর (১৯০৪) বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আধুনিক শহর নিউইয়র্কে প্রথম সাবওয়ে চালু করা হয়েছিল। তার জন্মের প্রায় এক দশক পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে আগুনে ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই
লুসিল আরও জানিয়েছিলেন, যেসব পুরুষ যুদ্ধে গিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু তার দুই ভাই একসাথে ফিরে এসেছিলেন।
তিনি যে নার্সিং হোমে থাকতেন সেটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, র্যান্ডন প্রায়ই তার ভাইদের কথা বলতেন এবং ভাবতেন মৃত্যুর পর তাদের সাথে আবার দেখা হবে।
সান নিউজ/এনকে/এনজে