আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগরে হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত একটি ফ্রিগেট মোতায়েন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অ্যাডমিরাল গোরশকোভ নামের শক্তিশালী এই রুশ যুদ্ধজাহাজটি আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের দিকে তৎপরতা চালাবে।।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় বিস্ফোরণে নিহত ১৯
বুধবার (৪ জানুয়ারি) একটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এসব তথ্য জানান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও ফ্রিগেটের কমান্ডার ইগোর ক্রোখমল যুক্ত ছিলেন।
যুদ্ধজাহাজটিকে ‘কমব্যাট সার্ভিস’ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার আগে পুতিন বলেন, এ জাহাজে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ‘জিরকন’ রয়েছে। প্রার্থনা করি যাতে, দেশের কল্যাণে ও সেবাদানে নাবিকেরা যেন সফল হন।
এ সময় রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু বলেন, এ ফ্রিগেট আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটিতে যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তা যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: অস্থিরতার পর প্রথম নির্বাচন
‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মাধ্যমে হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আক্রমণ চালানো যাবে। এগুলো জলে-স্থলে যেকোনো জায়গায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে শক্তিশালী আঘাত হানতে সক্ষম।’
শোইগু আরও বলেন, এ মিশনের মূল লক্ষ্য হবে রাশিয়ার ওপর যেসব হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মোকাবিলা করা ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে মিলে আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়তা করা।
‘এছাড়া, এ মিশনে সামরিক মহড়াগুলোতে নাবিকদের হাইপারসনিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ গতিতে ছুটতে পারে। ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৬ হাজার ১৭৪ কিলোমিটার বা ৩ হাজার ৮৩৬ মাইল হতে পারে। এককথায় এর গতি চূড়ান্ত পর্যায়ের।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার কয়েদিকে মুক্তি দিল জান্তা
এধনের ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে গতিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ, এগুলো এত দ্রুত ছোটে যে শত্রুপক্ষ সতর্ক বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার আগেই লক্ষবস্তুতে আঘাত হানে।
রাশিয়া গত বছর যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন থেকে ‘জিরকন’ নামের এ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির অগ্রগতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্যেই ওই পরীক্ষা চালায় দেশটি।
রুশ বিমানবাহিনীর মিগ-৩১কে যুদ্ধবিমানে বসানো হয়েছে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ছবি প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন মরিয়ম
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো জিরকন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, সেই সময় এই অস্ত্রের পরীক্ষার প্রশংসা করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরে একই রণতরী এবং সাবমেরিন থেকে অপ্রতিরোধ্য এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আরও পরীক্ষা চালানো হয়।
সান নিউজ/এসআই