আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়া দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলে নির্বাচনের ঘোষণা করেছে সরকার। যা বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হবে।
আরও পড়ুন: এমন নজির বিশ্বের আর কোথাও আছে?
কর্মকর্তারা বুধবার বলেছেন, মহামারীর ও দেশব্যাপী অস্থিরতার কারণে প্রায় এক বছর বিলম্বিত হওয়ার পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগে অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, দেশজুড়ে ৮ হাজারেরও বেশি কাউন্সিলর পদে নিবার্চন হবে। আগামী ১৮ থেকে ২১ জানুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়ন উন্মুক্ত হবে, তারপরে ২৮ দিনের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।
এদিকে, ফেব্রুয়ারির স্থানীয় নির্বাচন, বর্তমান জাতীয় প্রশাসনকে পতন করতে পারে না। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে ২০ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক পূর্ণ করার সময় বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবেন। তবে তিনি কোনও ইঙ্গিত দেখাননি। সাংবিধানিকভাবে, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিক পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারির কারণে পর্যটন ব্যবসায় ধস, জাতীয় অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের অদক্ষতা, বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শূন্যে নেমে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বিপর্যয়র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো জরুরি পণ্য আমদানি করতে পারছিল না দেশটি।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় বিস্ফোরণে নিহত ১৯
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকটও দেখা দেয় শ্রীলঙ্কায়। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রথমে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দেশটির সংকটময় পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে।
সান নিউজ/এসআই