আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ এবং বাইরের যে কোনো কাজ, এমনকি ত্রাণ সহায়তা কাজে বাধা দেওয়ার পরও এ খাতে সহায়তা প্রদান বন্ধ করবে না জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপির নির্দেশনা
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। খবার এনডিটিভি।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রামিজ আলাকবারভ জানিয়েছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আফগানিস্তানের জনগণকে জীবন রক্ষাকারী সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: চাইনিজদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক
বৃহত্তর অর্থনীতির জোট জি-৭ তালেবানের নারীদের ব্যাপারে নেওয়া পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া ও ভয়ানক’ বলে মন্তব্য করেছে। এই বিবৃতির পর আলাকবারভ বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ‘অনেক বেশি’ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে থাকা ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: পেলের প্রতি তারকা ফুটবলারদের শ্রদ্ধা
তিনি আরও বলেন, সহায়তা প্রদান কোনো শর্তের ওপর হতে পারে না। রামিজ আলাকবারভ আরও বলেন ‘ক্ষুধার্ত ব্যক্তি কিংবা মৃত্যুপথযাত্রীকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে আপনি শর্তারোপ করতে পারেন না।’
নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আগামীতে আলোচনা করার কথাও বলেন তিনি। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশটির তালেবান শাসকদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে আফগানিস্তান সফর করবেন।
আরও পড়ুন: মা হারালেন নরেন্দ্র মোদি
সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটিতে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছয়টির মতো বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা এনজিও।
সান নিউজ/এমআর