আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং বিলে সাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুদ্ধে আক্রান্ত ইউক্রেনকে সাহায্য করা ছাড়াও রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের এই বিলে সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথা রয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু নীতি পরিবর্তনও হবে।
আরও পড়ুন : সুচির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিলে সাক্ষর করার ফলে নতুন আর্থিক বছরে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা নিশ্চিত হলো। বাইডেন সাক্ষরিত এই বিলের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ সামরিক খরচের কথা উল্লেখ আছে।
রুশ সামরিক আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন ও ন্যাটো দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে।
বিকলাঙ্গ পড়ুয়াদের অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্য দেয়ার কথা চার হাজার পাতার এই বিলে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
এছাড়াও কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, গার্হস্থ সহিংসতার শিকার, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণ ও পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরির অর্থও আছে এই বিলে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন ভার্জিন আইল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, '২০২৩ এ আরও কিছু দেয়ার অপেক্ষায় আছি।'
আরও পড়ুন : মা হারালেন নরেন্দ্র মোদি
প্রেসিডেন্ট সাক্ষরিত বিলটি ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা হাউসে এবং রিপাবলিকানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সেনেটেও পাস হয়েছে। দুই দলই বিলটিকে সমর্থন করেছে। বাইডেনও বিলটিতে সাক্ষর করেছেন।
বিলে খুব বেশি অর্থ খরচ করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, আর বেআইনি অভিবাসীদের রুখতে কোনো ব্যবস্তার কথা বলা হয়নি।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে ফের পুরোদমে রুশ হামলা
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হলে ম্যাকার্থিরই স্পিকার হওয়ার কথা রয়েছে।
বিলটিতে শুধু যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে তা নয়, নীতি পরিবর্তনের কথাও উল্লেখ কারা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ক্যাসিনোতে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১০
উনিশ শতকের ইলেকটোরাল কাউন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তন এর মধ্যে অন্যতম। ক্যাপিটল হিলের ঘটনা, ট্রাম্পের আচরণের পর এই পরিবর্তন জরুরি বলে ডেমোক্র্যাটেরা মনে করছেন ।
সান নিউজ/এইচএন