আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানকে জাতিসংঘের প্রধান নারী সংস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরান সরকার দেশজুড়ে বিক্ষোভ দমন অব্যাহত রাখার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় আসলেই উন্নয়ন হয়
মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে সরকারের দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এ ভোটাভুটি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: মরুভূমি থেকে ২৭ লাশ উদ্ধার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৪ সদস্যের জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) ইরানকে নারীর অধিকারের পদ্ধতিগত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নারীর অবস্থার কমিশন থেকে ইরানকে বহিষ্কারের জন্য মার্কিন-খসড়া প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ভোটাভুটিতে ২৯-৮ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। ভোটাভুটির গৃহীত এ সিদ্ধানত ২০২২-২০২৬ পর্যন্ত সংস্থাটির বর্তমান মেয়াদের বাকি অংশের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে ১৬ জন সদস্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন: মরুভূমি থেকে ২৭ লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড টুইটারে বলেছেন, “জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবেমাত্র নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশন থেকে ইরানকে অপসারণে ভোট দিয়েছে। ইরানী নারী ও কর্মীরা আমাদেরকে এটি করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন- এবং আজ, আমরা এটি সম্পন্ন করেছি।”
এর আগে নভেম্বরের শেষের দিকে, জাতিসংঘের অধিকার পরিষদ ইরানে সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে ভোট দিয়েছিল।
৪৫-সদস্যের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন হচ্ছে জাতিসংঘের প্রধান নারী অধিকার গোষ্ঠী। এটি ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে প্রতি বছরের মার্চ মাসে সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠকে মিলিত হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা ঠিক হয়নি
প্রসঙ্গত, ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এসব বিধি তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির নৈতিক পুলিশ।
নৈতিক পুলিশের একটি দল এ বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনিকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বড় জ্বালা, বিএনপির অন্তর্জ্বালা
আটকের পর মাশা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইরানজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেন দেশটির তরুণ-তরুণীরা। দেশটিতে এ পর্যন্ত সহিংসতায় প্রাণ গেছে কয়েকশ জনের। ইরান সরকারের দাবি, এ বিক্ষোভে বড় ধরনের উসকানি দিয়ে আসছে পশ্চিমারা।
সান নিউজ/এমআর/এমএ