আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তরমধ্য আফ্রিকার দেশ শাদের মরুভূমি থেকে চার শিশুসহ ২৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা তৃষ্ণায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইওএম বলেছে, এ অভিবাসন প্রত্যাশীরা একটি পিকআপ ভ্যানে করে ১৭ মাস আগে শাদের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মুসোরো ছেড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পিকআপ ট্রাকটি গভীর মরুভূমিতে হারিয়ে যায়, পরে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে অকেজো হয়ে পড়ে আর পরবর্তীতে তৃষ্ণায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা ঠিক হয়নি
চারদিকে স্থলবেষ্টিত দেশ শাদের সঙ্গে উত্তরে লিবিয়ার সীমান্ত আছে। আফ্রিকার অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী এ সীমান্ত পার হয়ে ভূমধ্যসাগরের তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। শাদের বিশাল এলাকা সাহারা মরুভূমির অংশ, যেখানে জনবসতি বিরল।
আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাহারা মরুভূমি পার হওয়ার চেষ্টাকালে পাঁচ হাজার ছয়শরও বেশি মানুষ মারা গেছেন ও নিখোঁজ হয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত (২০১৪ সাল থেকে) শাদে ১১০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। তবে অনেক মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বড় জ্বালা, বিএনপির অন্তর্জ্বালা
শাদে আইওএম-এর প্রধান মিশন অ্যান ক্যাথরিন শেফার বলেছেন, “আমরা এই সাম্প্রতিকতম ট্র্যাজেডিতে গভীরভাবে শোকাহত এবং অভিবাসীদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
কয়েক দশক ধরে শাদ লিবিয়া এবং অন্যান্য উত্তর আফ্রিকার দেশগুলিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা লোকদের জন্য একটি ট্রানজিট রুট ছিল যেখান থেকে তারা ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করার চেষ্টা করবে। ২০১৬ সাল থেকে, অবৈধ অভিবাসন নিরুৎসাহিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির চাপ অভিবাসীদের বিপজ্জনক রুট নিতে বাধ্য করেছে, যার ফলে অনেক মৃত্যু হয়েছে বলে বিরোধ বিশ্লেষকরা বলছেন।
সান নিউজ/এমআর