সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যত বাধাই আসুক, ইউক্রেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যশস্য সরবরাহ করে যাবে।
আরও পড়ুন: দেশ যেন দুর্ভিক্ষের কবলে না পড়ে
দেশটির রাজধানী কিয়েভে শনিবার (২৬ নভেম্বর) বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন। ইয়েনি সাফাকের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা অব্যাহতভাবে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা দিয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র মানুষগুলো অনাহারে থাকবে।
আরও পড়ুন: এডিবির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে ইউক্রেনের সেনারা।
সান নিউজ/এনকে