আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে খেরসন অঞ্চলে রুশ হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এই অঞ্চল থেকে মস্কোর সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে হওয়া হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীদের প্রবেশ কমাতে চান ঋষি
রোববার (২৭ নভেম্বর) ইউক্রেন পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছে বলে শনিবার (২৬ নভেম্বর) ইউক্রেন পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন।
রুশ সেনাবাহিনী দীর্ঘ প্রায় নয় মাস দখলে রাখার পর গত ১১ নভেম্বর খেরসন শহর থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে। রাশিয়ান বাহিনী এখন ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান করছে, যেখান থেকে তারা শহরটিতে নিয়মিত গোলাবর্ষণ করে চলেছে।
আরও পড়ুন : বেতন নেবেন না আনোয়ার ইব্রাহিম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউক্রেন ন্যাশনাল পুলিশ প্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘প্রতিদিনই চালানো রাশিয়ার হামলা এই শহরকে ধ্বংস করছে এবং শান্তিপূর্ণ স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা করছে।
সর্বোপরি, শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে খেরসন অঞ্চলে ৩২ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে রাশিয়া।’
ইউক্রেন পুলিশ আবারও এই অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছে জানিয়ে ইহোর ক্লাইমেনকো আরও বলেন, ‘বাধ্য হয়ে দেশের শান্ত অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনেক লোক এখান থেকে সরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : ফের লং মার্চে ইমরান খান
কিন্তু অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়িতেই থাকছেন এবং আমাদের তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাব্য নিরাপত্তা দিতে হবে।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন সিনিয়র সহকারী জানান, শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ ফের চালু করা হয়েছে।
এছাড়া গত সপ্তাহে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইউক্রেন শিগগিরই এই অঞ্চল ছেড়ে যেতে চায় এমন লোকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করবে।
আরও পড়ুন : এশিয়ার শীর্ষ নারী উদ্যোক্তাদের তালিকায় ক্রিস্টি ক্যার
তদন্তকারীরা এই অঞ্চলে রাশিয়ান সেনা এবং তাদের সহযোগীদের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ হিসাবে মোট ৫৭৮টি ঘটনা রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো।
তবে রাশিয়ান সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেকোনো অত্যাচার-নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ নিয়মিতভাবেই অস্বীকার করে আসছে।
সান নিউজ/এইচএন