ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। বাবার হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বিপত্তি বাধিয়েছিলেন বড় ছেলে ইয়ায়ের। ভারতীয় এবং ভারতের বাইরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আক্রমণ শুরু করার পর শেষ পর্য়ন্ত ক্ষমা চাইতে হল ইয়ায়েরকে।
টুইটারে বিতর্কিত ওই পোস্টও সরিয়ে দিয়ে তার সাফাই, ওই ছবির মর্মার্থ তিনি বুঝতে পারেননি। তার পরেও অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। এখনও অনেকে আক্রমণ করে চলেছেন। অন্য দিকে ইয়ায়েরের মানসিকতার প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে নেমেছেন নেতানইয়াহু সমর্থকরাও।
বিতর্কের সূত্রপাত ইয়ায়েরের একটি পোস্ট ঘিরে। প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, ঘুষ নেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে বিচার চলছে নেতানইয়াহুর। কিন্তু ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাফাই, তার বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
বাবার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে রোববার টুইটারে একটি পোস্ট করেন ইয়ায়ের। তাতে হিন্দুদের দেবী দুর্গার ছবিতে মুখ পাল্টে তার বাবার আইনজীবী লিয়াত বেন আরির ছবি বসিয়েছিলেন।
সুপারইম্পোজ করে ওই ছবি বসানো হয়েছিল। দশটি হাতের ছবিও বিকৃত করা হয়েছিল। আর দুর্গার বাহন সিংহের মুখে বসানো হয়েছিল ইজরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখ।
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ইয়ায়েরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ড সমালোচনা করতে শুরু করেন ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এটা শুধু দেবী দুর্গা নয়, হিন্দু সম্প্রদায়কে ইয়ায়ের অপমান করেছেন বলে বহু মানুষ সরব হন।
তার পরেই ওই পোস্ট সরিয়ে দেন ইয়ায়ের। নতুন একটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইজরায়েলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা করতে একটি রসিকতামূলক পেজ থেকে নিয়ে একটি মিম টুইট করেছিলাম আমি। কিন্তু ওই মিমের সঙ্গে হিন্দু দেবী ছিল, তা আমি বুঝতে পারিনি। কিন্তু ভারতের কিছু বন্ধু আক্রমণ করার পরেই আমি সেটা বুঝতে পারি। তার পরেই টুইটি সরিয়ে দিয়েছি। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ আর এই টুইটের পরেই অনেকে ইয়ায়েরের পক্ষে দাঁড়ান এই বলে যে, তিনি সত্যিই বুঝতে পারেননি। ভুল স্বীকার করার সাহসিকতার প্রশংসাও অনেকে করেছেন।
যদিও নেটিজেনদের একাংশ তাতেও সন্তুষ্ট নন। এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন পোস্টের জন্য এখনও অনেকেই আক্রমণ করে চলেছেন তাঁকে। তার উপর আগেও একাধিক বার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ইয়ায়ের। এই জুলাইতেও ইজরায়েলের এক সংবাদ পাঠিকার উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি যৌন সম্পর্ক করে কেরিয়ারে উপরে উঠেছেন। যদিও সেই পোস্টের জন্যও পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন নেতানইয়াহু পুত্র।