আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান, জাপানি চলচ্চিত্র নির্মাতা তরু কুবতা এবং অং সান সুচির সাবেক অর্থ উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক শন টারনেলসহ ৬ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : যে কারও সঙ্গে কাজ করব
দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামি বছরের ৪ জানুয়ারি দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের দূত হিসেবে কাজ করেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান। গ্রেফতারের সময় ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমার সেন্টার ফর রেসপন্সিবল বিজনেসের (এমসিআরবি) পরিচালনায় ছিলেন তিনি।
চলতি বছরের গত ২৪ আগস্ট শান রাজ্য থেকে ইয়াঙ্গুনে যাওয়ার সময় বোম্যান ও তার স্বামী হিটেন লিনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : নিম্ন কক্ষের নিয়ন্ত্রণে রিপাবলিকান
সেসময় বোম্যানের বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে তাকে মিয়ানমারে থাকতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। তাদের উভয়কেই এক বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির সামরিক আদালত।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক শন টার্নেলকে অভ্যুত্থানের পরপরই ইয়াঙ্গুন থেকে আটক করা হয়েছিল। অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাকে বিভিন্ন অভিযোগে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, চলতি বছরের গত ২৬ জুলাই ইয়াঙ্গুনে জান্তা সরকারবিরোধী সমাবেশ চলাকালে গ্রেফতার হন জাপানি তথ্যচিত্র নির্মাতা তরু কুবতা। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ও যান্ত্রিক যোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ৬ মাত্রার ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়া
জাপানি তথ্যচিত্র নির্মাতা তরু কুবতা গ্রেফতার হওয়ার মাসেই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার আসেন। পরে স্থানীয় এক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানাচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
২০১৪ সালে কুবতা জাপানে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। পরবর্তীকালে মিয়ানমারের উদ্বাস্তু ও জাতিগত সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছিলেন তিনি।
আজকের সাধারণ ক্ষমার আগে অন্তত ৬৮ জন সাংবাদিককে মিয়ানমারে আটক করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।
আরও পড়ুন : পোল্যান্ডে সেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন
মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন অভিযোগে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে বন্দি করে তারা।
অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের প্রতিবেদন হতে জানা যায়, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার জান্তা সরকারের হাতে ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।
সান নিউজ/এইচএন