সান নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত দুই দেশের ২ লাখ সেনা নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্য রকম লড়াইয়ে বিধ্বস্ত জাপান
তিনি সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনে ৪০ বেসামরিক লোকও রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গত সেপ্টেম্বরে মস্কো দাবি করেছিল, অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া তাদের ৫ হাজার ৯৩৭ জন সেনা সদস্য হারিয়েছে।
তবে, জেনারেল মার্ক মিলির মতে, এ পর্যন্ত রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেক সেনা সদস্য।
আরও পড়ুন: সরকার এক টাকাও অপচয় করেনি
কিন্তু রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন জেনারেলের এ দাবি নাকজ করে দিয়েছে। মস্কোর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাদের নিহতের সংখ্যা বহুগুন বাড়িয়ে বলছে।
মার্ক মিলি আরও বলেন, রাশিয়ার এ সামরিক আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের দেড় থেকে ৩ কোটি মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে এখন শরণার্থী হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে ইউক্রেনের সেনারা।
সান নিউজ/এনকে