সান নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক চাপে থাকা শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন দেশটির একটি কেন্দ্রীয় আদালত। একটি সরকারি ওয়েবসাইটে নোটিশের বরাতে শনিবার (১২ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ফলে বিচারকদের নির্দেশে এ ধরনের আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন সরকার।
বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত টেক্সাসের একজন বিচারক গত বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের কয়েকশ কোটি ডলারের ঋণ মওকুফ করার বিষয়ে বাইডেনের পরিকল্পনাটি বেআইনি। তাকে অবশ্যই এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
এরই মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে আদালতের নির্দেশক্রমে শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ আবেদন গ্রহণও বন্ধ রেখেছে তারা।
আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফে আমাদের কর্মসূচি বন্ধের আদেশ জারি করেছেন আদালত। ফলস্বরূপ, এই মুহূর্তে আমরা আর কোনো আবেদন নিচ্ছি না। আমরা (আদালতের) সেই আদেশ বাতিলের চেষ্টা করছি। আপনি যদি আগেই আবেদন করে থাকেন, আমরা সেটি রেখে দেবো।
বাইডেনের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের জন্য আবেদন করেছিলেন। দেশটির শিক্ষা দপ্তর এরই মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখের মতো আবেদন মঞ্জুরও করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের কারণ দেখি না
তবে আপিলের রায় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে যাবে, আপাতত তেমন সম্ভাবনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে নিউ অরলিন্স-ভিত্তিক ৫ম ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলের তিন বিচারকের প্যানেলে। এই আদালতে রক্ষণশীল বিচারকদের প্রভাব বেশি, যারা আগেও বাইডেনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বাধা দিয়েছেন।
আদালতের ১৬ জন সক্রিয় বিচারকের মধ্যে মাত্র চারজন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া। আর ছয়জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া মার্কিন জেলা বিচারক মার্ক পিটম্যান বলেছেন, বাইডেনের এই কর্মসূচি কংগ্রেসের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার একটি অসাংবিধানিক অনুশীলন।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত বিষয় জনসম্মুখে প্রচার শোভন নয়
ধারণা করা হচ্ছে, মামলাটি শেষপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পযন্ত গড়াতে পারে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, শিক্ষা দপ্তর আবেদনের তথ্যগুলো রেখে দেবে, যেন আদালতে জয়ী হলে সেটি দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যায়।
সান নিউজ/এনকে