সান নিউজ ডেস্ক: চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ বলেছেন, চলতি সপ্তাহ থেকে খেরসনে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে। এতে ২৩ রুশ সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৮ জন। রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলেনস্কিকে সুনাকের ফোন
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, সেদিনের প্রথম দিকে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে ছিলাম। তবে চেচেনরা জিহাদে অংশ নিয়েছে এবং যদি তাদের নিয়তি হয় পবিত্র যুদ্ধে মৃত্যু, তাহলে এটা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সত্যিকারের একটি সম্মান ও আনন্দের বিষয়।
আরও পড়ুন: গুরুতর ভুল করবে রাশিয়া
কাদিরভ বলেন, হামলার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। মৃত ও আহতদের একটি চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ জন সেনা নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হামলার পর চেচেন বাহিনী প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। এই হামলায় প্রায় ৭০ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
সান নিউজ/এনকে