সান নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে শপথ নিয়েছেন ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি। আর এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার পেল দেশটি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন সুনাক
নারী হলেও তিনি নতুন পদের জন্য পুরুষবাচক খেতাব বেছে নিয়েছেন। আর এ নিয়েই বিতর্ক শুরু করেছেন দেশটির নারীবাদীরা।
ইতালীয় ভাষায় ব্যক্তির নাম পুংলিঙ্গ বা স্ত্রী লিঙ্গবাচক হতে পারে। মেলোনির আনুষ্ঠানিক শিরোনাম ‘প্রেসিডেন্ট দেল কনসিগ্লি’ এর পূর্বে পুংলিঙ্গ বাচক ‘ইল’ ছিল। অথচ এটি স্ত্রী লিঙ্গবাচক করা হলে ‘লা’ যুক্ত করতে হতো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির অভিষেক আজ
রোববার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারি করা প্রথম বিবৃতিতে বিষয়টি নজরে এসেছে। সোমবার পার্লামেন্টেও মেলোনির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এভাবে পড়া হয়েছিল।
ইতালির রাজনীতিতে নারীরা প্রাান্তিক শ্রেণির। এর মধ্যেও মেলোনি অতি ডানপন্থি একটি দলের প্রধান। অবশ্য তিনি নারীবাদী হিসেবে পরিচিত নন। তিনি বোর্ডরুম ও পার্লামেন্টে নারী কোটার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার যুক্তি, মেধার মাধ্যমে নারীদের শীর্ষে উঠতে হবে। নিজের মন্ত্রিসভায় মাত্র ছয় জন নারীকে ঠাঁই দিয়েছেন মেলোনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির অভিষেক আজ
জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ব্রাদার্স অব ইতালির প্রধান মেলোনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি নেতৃত্বাধীন ফোরজা ইতালিয়া ও মাত্তেও সালভিনির লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয় পান।
জন্মগতভাবে রোমান ক্যাথলিক মেলোনি বেড়ে উঠেছেন মায়ের সঙ্গে। তারুণ্যের সময় থেকেই তিনি গভীরভাবে, এমনকি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন জাতীয় রক্ষণশীল। বেড়ে উঠেছেন রোমের বামপন্থী ঐতিহ্যের শ্রমজীবী পাড়া হিসাবে খ্যাত গারবাটেল্লায়।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় নিহত ৬
১৯৭৭ সালে রোমে জন্ম নেয়া মেলোনি ১৯৯২ সালে ইতালিয়ান সোশ্যাল মুভমেন্টের যুব শাখা ইয়ুথ ফ্রন্টে যোগ দেন। পরে তিনি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের ছাত্র আন্দোলন স্টুডেন্ট অ্যাকশনের জাতীয় নেতা মনোনীত হন। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ রোম প্রদেশের কাউন্সিলর ছিলেন।
তারপরে মেলোনি ন্যাশনাল এলায়েন্সের যুব শাখা ইয়ুথ অ্যাকশনের সভাপতি হন। ২০০৮ সালে, তিনি বার্লুসকোনির মন্ত্রিসভায় যুবমন্ত্রী হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। পরের বছরই তিনি ফ্রেন্ডস অব ইতালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে আবির্ভূত হন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় নিহত ৬
আর ২০১৪ সালে তিনি দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন। একই বছরে তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং ২০১৬ সালে রোমের মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। ২০১৮ সালে ইতালির সাধারণ নির্বাচনে মেলোনির দল সবচেয়ে বড় বিরোধীদল হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সান নিউজ/এনকে