আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসের মজুত রয়েছে ইরান ও রাশিয়ায়। দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে। গ্যাস শিল্পকে চাঙ্গা করতে রাশিয়ার কাছে ৪০টি টারবাইন বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ইরান। সম্প্রতি মস্কোর সঙ্গে তেহরানের এ বিষয়ক একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র যৌন হয়রানি, শাস্তি তিরস্কার!
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ব গ্যাস উত্তোলন ও প্রকৌশল বিষয়ক কোম্পানি ইরানিয়ান গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের শীর্ষ নির্বাহী রেজা নওশাদি দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বার্তাসংস্থা শানা নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কখন-কোথায় এই চুক্তি হয়েছে এবং কবে নাগাদ এসব টারবাইন ইরানকে সরবরাহ করা হবে তা বলা হয়নি।
রেজা নওশাদি বলেন, ‘ইরানের ভারী শিল্পের সাফল্য কেবল তার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে দেশের ভারি শিল্পের ৮৫ শতাংশই অভ্যন্তরীণ গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা সৃষ্টিতে ব্যয় হচ্ছে। এর ভিত্তিতেই রাশিয়ার কাছে ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিতে তৈরি ৪০টি টারবাইন আমরা বিক্রি করছি। মস্কোর সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সংকেত
শানা নিউজ এজেন্সিকে নওশাদি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তরলীকৃত (এলএনজি) গ্যাস উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। বেশ কিছু প্ল্যান্টও তৈরি করেছে এবং তাদের এলএনজি গ্যাসের প্রধান বাজার ইউরোপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমাদের ধারণা, রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সম্প্রতি নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল- তার প্রধান কারণ গ্যাসের বৈশ্বিক বাজার থেকে রাশিয়াকে দূর করা।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ অর্থনৈতিক ও আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে শিল্পপণ্য, কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারছে না রাশিয়া। এতে গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়া থেকে গ্যাসের সরাসরি সরবরাহ কমে গেছে ইউরোপে। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টারবাইন বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
সান নিউজ/কেএমএল