আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের আটটি আসনের উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের ব্যাপক বিপর্যয়ের দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিশাল বিজয় পেয়েছে।
আরও পড়ুন : কিয়েভে ভয়াবহ ড্রোন হামলা
রোববার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের ৮ টি আসনের উপনির্বাচনে ছয়টিতেই ইমরান খান বিজয়ী হয়েছেন। আর পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই তার দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।
জাতীয় পরিষদের আটটির মধ্যে সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ইমরান খান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীর (পিপিপি) কাছে হেরে গেছেন।
অপরটিতে তার দলের প্রার্থী পিপিপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন : ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীদের হারিয়ে জাতীয় পরিষদের পেশোয়ার, মর্দান, চারসাদা, ফয়সালাবাদ, মুলতান ও নানকানা সাহিব আসনে জয়ী হয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল পিটিআই পাঞ্জাব পরিষদের উপনির্বাচনে তিনটির মধ্যে দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। আর একটি আসনে জিতেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ।
দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রার্থী একসাথে জাতীয় পরিষদের সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন।
আরও পড়ুন : ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে নির্বাচনের পর তাকে একটি রেখে বাকি আসনগুলো ছেড়ে দিতে হয়।
ইমরান খানের এই জয়ে পাকিস্তানের সরকার পরিবর্তন না হলেও তার নৈতিক জয় হয়েছে। তার কর্মীরা এতে করে সরকার পতন আন্দোলন করতে উদ্দীপ্ত হবে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ
প্রসঙ্গত, সব আসনই একসময় ইমরান খানের দলের ছিল। স্পিকার এসব আসন শূন্য ঘোষণা করায় নতুন করে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, ডন, জিও নিউজ।
সান নিউজ/এইচএন