সান নিউজ ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসে গাড়ি পার্কিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ আটকা পড়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২
শিক্ষার্থীরা দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নিরাপত্তাকর্মীদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে। কিছুটা দূর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। নিরাপত্তাকর্মীরা মোটরসাইকেলে এসে একটি গাড়িতে গুলি করছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার আসামি খুন
ওই গাড়িতে থাকা একজন পুরো ঘটনার ভিডিও করছিলেন। ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবর বলছে নিরাপত্তাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসস্থলেও হামলা চালিয়েছে। তাদের আবাসস্থল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর শোনার পরে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে ভিড় জমে যায়। গত দুই রাত তেহরান ও অন্যান্য শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বেড়েছে। নরওয়েভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ইরানে ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসছে অজয় দেবগনের ময়দান
কঠোর পর্দাবিধি লঙ্ঘন করে হিজাব না পরায় মাসা আমিনি নামে ২২ বছরের ওই নারীকে আটক করে নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে আমিনি কোমায় চলে যান। পুলিশ আমিনির মাথায় মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমিনির মাথা গাড়ির সঙ্গে ঠুকে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ বলছে আমিনির সঙ্গে পুলিশের এ ধরনের আচরণ ও তার হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু আমিনির শেষকৃত্য চলাকালে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইরানে বেশ কয়েক বছর এমন অস্থিতিশীলতা দেখা যায়নি।
ইরানের সরকার বলছে বহির্বিশ্বের শত্রুরা এ ধরনের বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। দেশটির সরকার বিক্ষোভকারীদের কঠোরভাবে দমন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল