সান নিউজ ডেস্ক: পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে ‘সহিংসতা ও মৃত্যুর’ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা
রোববার (০২ অক্টোবর) সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে তিনি বলেছেন, এই সঙ্কট বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রতি উৎসর্গীকৃত ভাষণে ফ্রান্সিস ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের নিন্দা করেছেন। তিনি পুতিনকে নিজের জনগণের কথা চিন্তা করার আহ্বান জানান।
ভ্যাটিকানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পোপের আবেগপ্রবণ ভাষণটি এতটাই দুঃখজনক ছিল যে এটি কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময় ১৯৬২ সালে পোপ জন ২৩ এর শান্তি আবেদনের কথা মনে করিয়ে দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথম পোপ ফ্রান্সিস ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন।
আরও পড়ুন: চীনের মধ্যস্থতা চান মোমেন
পোপ বলেছেন, ‘এই মাসগুলিতে ছড়িয়ে পড়া রক্ত ও অশ্রুর নদী তাকে তাড়িত করেছে।’ ফ্রান্সিস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যে কোনও ‘গুরুত্বপূর্ণ শান্তি প্রস্তাবের’ প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের দাবি, ক্রেমলিনের সেনারা পিছু হটছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বেড়াজালকে ভেঙে ফেলেছে তারা।
সান নিউজ/এনকে