আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে রাশিয়ায় বসবাসকরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কোর নিযুক্ত দেশটির দূতাবাস। বিশেষ করে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা ভ্রমণের ব্যাপারে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে। এছাড়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যদের সে দেশ ত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশে ঘুরছে করোনাভাইরাস!
মস্কোর নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা, সিএনএন, আনাদোলু এজেন্সিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। বিবৃতিতে মার্কিন নাগরিকদের নতুন করে রাশিয়া সফর না করার পাশাপাশি যারা বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব দেশটি ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদেশের নাগরিকদের রাশিয়া সফরের ব্যাপারে একই ধরনের একটি সতর্কবার্তা জারি করেছিল। এবার রুশ সরকার দেশটির রিজার্ভ সেনা তলব করার পর মার্কিন দূতাবাস আবার একই ধরনের সতর্কতা জারি করল।
আরও পড়ুন: কুর্দিস্তানে ড্রোন হামলা, নিহত ১৩
সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে এবং এটি কোনও ধাপ্পাবাজি নয়। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যদের সে দেশ ত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। অতিগুরুত্বপূর্ণ নন—কিয়েভের মার্কিন দূতাবাসের এমন কর্মীদের স্বেচ্ছায় ইউক্রেন ছাড়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে আর আলোচনা নয়
একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের এখনই ইউক্রেন ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, মস্কোর সম্ভাব্য কোনো আগ্রাসনের পর হয়তো মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থাকবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ভ্রমণ না করার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের অব্যাহত হুমকির কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এসব পদক্ষেপ নেয়।
সান নিউজ/কেএমএল