আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ইরানি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিয়েভে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে এ নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
আলজাজিরার এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ইউক্রেনে হামলায় রুশ বাহিনী ইরানের নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করছে দাবি করে কিয়েভ ইরানের ওপর এভাবে চটেছে। ইউক্রেনের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে রাশিয়াকে সহযোগিতা করা এবং ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে হত্যা করার কাজে ইরানের ড্রোন ব্যবহার করার জন্য তেহরানকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার সেনাবাহিনী যে ইউক্রেনে হামলায় ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে— এ ব্যাপারে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় এছাড়া ইরানি দূতাবাসে কূটনীতিকের সংখ্যা কমানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানে টাইফুনের আঘাত, নিহত ২
একটি ভিডিও বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো পর্যন্ত ইরানের তৈরি মোট আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। আজ রাশিয়ান সেনাবাহিনী দিনিপ্রপেট্রোভস্ক এবং ওদেসাত অঞ্চলে হামলার জন্য ইরানি ড্রোন ব্যবহার করেছে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে ছয়টি ইরানি ড্রোন আমাদের পূর্ব ও দক্ষিণ কমান্ডের বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। আর একটি নৌবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা মাটিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং ঠিক এই মুহূর্তে আমাকে আরেকটি ইরানি ড্রোন দক্ষিণ কমান্ডের বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল কিনবে ফিলিপাইন
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘এই ধরনের অবন্ধুত্বপূর্ণ কাজের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করার এবং কিয়েভে ইরানের দূতাবাসের কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন।’
তবে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। বলেছে, রাশিয়াকে তারা কোনো ড্রোন সরবরাহ করেনি। এর আগে তেহরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ইরান এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকে সহায়তা করবে না। কারণ তারা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানকে সমর্থন করেছে।
সান নিউজ/কেএমএল