ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত সারা পৃথিবী। করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের চাহিদা এখন তুঙ্গে। এদিকে করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী এখন হরেক রকমের মাস্ক চলে এসেছে বাজারে।
এদিকে বেনারসী কাপড় দিয়ে তৈরি মাস্ক, রোজকার ব্যবহারের জন্য ডিজাইনড মাস্ক, সোনা-হিরের মাস্কও তৈরি হয়েছে। তবে সোনা ও হিরে দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহারের ক্রেতা কোথায় সেইটাই বড় প্রশ্ন।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের স্বর্ণকার রাধাকৃষ্ণণ সুন্দরম আচার্য সোনা ও রূপোর সুতো দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন সুন্দর ফেস মাস্ক।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, সোনা দিয়ে তৈরি মাস্কটিতে ১৮ ক্যারেট সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। দাম মাত্র পৌনে তিন লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা)। শুধু সোনাই নয়, রূপোর সুতো দিয়েও বানিয়েছেন মাস্ক। যার মূল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা।
কিন্তু এগুলো সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই মাস্ক কেনার জন্য তার খদ্দের অভাব হবে না। এরইমধ্যে সোনার মাস্ক কেনার জন্য ৯ জন আগাম অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। আমি জানি এত দাম দিয়ে মাস্ক কেনা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ধনীরা তো ব্যবহার করতে পারেন। তাদের বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানে এই মাস্ক ব্যবহার করতেই পারেন।
সোনার মাস্ক তৈরি করে চমকে দিয়েছেন অনেকেই। তবে রাধাকৃষ্ণণের তৈরি সোনার মাস্কের খবর ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এরফলে একদিকে তিনি যেমন শুধুই বাহবা পেয়েছেন তা নয়, সোনার মাস্ক কতটা করোনাভাইরাস প্রতিরোধকারী, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
তবে, সবাইকে টেক্কা দিয়ে সুরাতের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দীপক চোকসি নিয়ে এলেন হিরে খোদিত মাস্ক। হিরে বসানো এক একটি মাস্কের দাম দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
দীপক চোকসি জানান, সম্প্রতি তার দোকানে এক ব্যক্তি এসে একদম নতুন ধরনের মাস্ক বানানোর অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠান রয়েছে। বর ও কনের জন্য নতুন ধরনের কোনও মাস্ক তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তখনই দীপক চোকসির মাথায় হিরে বসানো মাস্কের পরিকল্পনা আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।